উত্তরদিনাজপুর

উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে সম্ভাব্য চতুর্থ ও দশম স্থানে উত্তর দিনাজপুরের সায়ন কুমার দাস ও রুপম পাল

মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোন সাফল্য না থাকলেও এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঝুলি ভরল উত্তর দিনাজপুর জেলা। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৭.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে নাম উজ্জ্বল করল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সায়ন কুমার দাস। সায়ন ইসলামপুর হাইস্কুলের বিঞ্জান বিভাগের ছাত্র। তাঁর মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৪৮৭। সায়নের বাবা শমর কুমার দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা ইলা দাস একজন গৃহবধূ। আগামী দিনে সায়ন গবেষক হতে চায় বলে জানিয়েছে। তার এই সাফল্যে খুশি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে তার সহ পাঠি এবং পরিবারের লোকজন। 

অন্যদিকে দশম স্থান অর্জন করল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রূপম পাল। রূপমের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রূপমের সব থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে অঙ্কে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। রূপমের বাড়ি বাইন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিটকিয়া এলাকায়। এদিন রুপমকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠে বিদ্যালয়ের সহপাঠি থেকে শুরু করে শিক্ষকরা। 

এবিষয়ে ছাত্র সায়ন কুমার দাস জানায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৪৭০ থেকে ৪৭৫ নম্বর পাবে বলে আশা করেছিল সায়ন। মেধাতালিকায় তার নাম উঠে আসবে, এটা তার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য বলে মনে করছে সে। ভবিষ্যতে গবেষক হতে চায়। দিনে ১৪ ঘন্টা পড়াশোনা করার পাশাপাশি গান শুনতে ভালোবাসে সায়ন। সে আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলে, পাঠ্য বই পরে লিখার প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলেই ভালো ফল করা যাবে। 

এবিষয়ে রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রূপম পাল জানায়, তাঁর আশা ছিল পরীক্ষার ফল ভালো হবে। ভালো ফল হওয়ায় খুশি সে। সে আগামীতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া শুনা করার ইচ্ছা আছে। তার এই সাফল্যের পিছনে তার বাবা ও মা হাত আছে,তার সাথে সাথে সহযোগিতা রয়েছে। সে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালো লাগে তার প্রীয় খেলোয়ার মহেন্দ্র সিং ধোনী। এছাড়াও আট করতে ও কম্পিউটারে কাজ করতে ভালো লাগে। রুপম জানায় ভালো ফলল করতে হলে টেক্স বই নিয়ে পড়া শুনা করা উচিত। 

এবিষয়ে সায়নের বাবা সমর কুমার দাস জানান, ছেলে মাধ্যমিকে খারাপ রেজাল্টের পর বেশি আশা করতেন না। কিন্তু এবার উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করায় খুশি তিনি।